টেকসই গ্রীন স্থাপত্যের খোঁজে!
শেষ বিকেলের আলোয় ট্যারেসে দাঁড়িয়ে এক মগ কফি হাতে সবুজের মাঝে হারাতে আর নীল আকাশের মেঘের খেলায় সন্ধ্যে নামা দেখতে ব্যস্ত জীবনের যে আকুতি, সেটা মেটানোর মত জায়গা এই যান্ত্রিক জীবনে খুঁজে পাওয়া অনেকটা স্বপ্ন দেখার মত। এই স্বপ্নেরই দেখামেলে শিল্পকলা একাডেমির পাশেই নগরীর মোহাম্মদ আলী সড়কের মেমোরী ৭১ অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে। র্যানকন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান র্যাংকস এফসি লিমিটেড এই প্রকল্প নির্মাণ করে। ভবনের দেয়ালজুড়ে ভার্টিক্যাল গার্ডেন, ভবনের লনে নান্দনিক জেন-গার্ডেন, রুফটপ স্টার লাউঞ্জ, জিমন্যাসিয়াম সহ নাগরিক জীবনের সকল সুবিধা আছে এই ভবনে। শুধু মেমেরী ৭১ই নয়, নগরের বিভিন্ন অভিজাত আবাসিক এলাকায় র্যাংকস নির্মাণ করছে নান্দনিক ডিজাইনের অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেঙ। নগরের মেহেদিবাগে গড়ে উঠছে প্রতিষ্ঠানের আরেকটি ল্যান্ডমার্ক প্রজেক্ট হোয়াইট ওক। ১৫তলা বিশিষ্ট এই প্রকল্পে থাকছে লাঙারী লাউঞ্জ, ওপেন স্কাই ট্যারেস, জিমন্যাসিয়াম। ২০১০ সালে সবার স্বপ্নের ডেভেলপার হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানিটি চট্টগ্রামে সাস্টেইনেবল আর্কিটেকচার নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ঘিঞ্জি শহর জীবনে একটু খোলামেলা, সবুজে ঘেরা আবাসনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে একের পর এক অভিনব ভবন ডিজাইন এবং নির্মাণ করছে র্যাংকস।
পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির আইকনিক প্রজেক্ট জেড কিংসডেলের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। কিংসডেলের প্রবেশ পথে আপনাকে স্বাগত জানাবে সুসজ্জিত লবি, ভার্টিক্যাল গার্ডেন। মেজানিন ফ্লরে থাকবে স্টার লাউঞ্জ, বুক কর্ণার ও মিনি থিয়েটার। ভবনের ছাদে থাকবে হোটেলগ্রেড ইনফিনিটিপুল। সুইমিংপুলের নীল জল থেকে দৃষ্টি মিশে যাবে দিগন্তে। জেড কিংসডেলের অদুরেই গড়ে উঠছে আরও একটি প্রকল্প, পার্ক উইন্ডসর। ভবনের সামনে থাকছে সুপ্রশস্থ কোর্টইয়ার্ড এবং দোতলায় সুসজ্জিত লাউঞ্জ ও জিমন্যাসিয়াম।
নগরীর অভিজাত এলাকা নাসিরাবাদ প্রোপার্টিজে র্যাংকস নির্মাণ করছে তিনটি বিলাসবহুল প্রজেক্ট। পাহাড়ের সান্নিধ্যে সবুজের মাঝে গড়ে ওঠা পার্ক ট্যারেসের সুবিশাল ওপেন স্কাই ট্যারেসে আপনি উপভোগ করতে পারেন পাহাড়ের বিশালতা। প্রতি ফ্লোরের সিগেল ইউনিট বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়াও টপ ফ্লোরে থাকছে লাঙারী ডুপ্লেঙ ভিলা। এছাড়া কুইন’স পার্ক ও ইস্পাহানী হিলক্রেস্ট প্রকল্প দুটিতে থাকছে সবুজের সমারোহ। র্যাংকসের কাসা ক্রাউন ও গ্রীনউড প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে নাসিরাবাদ হাউসিং সোসাইটিতে। নান্দনিক এই প্রকল্প গুলোতেও থাকছে সবুজের ছোঁয়া।
এছাড়া দক্ষিণ খুলশীতে সিঙ্গেল ইউনিট প্রকল্প ব্রিজি ট্যারেস নিয়ে এসেছে এই ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে বিশাল আয়তনের ঝুলন্ত ট্যারেস। লালখান বাজারে রোজউড প্রতিষ্ঠানটির আরও একটি নান্দনিক প্রকল্প। সামনে ওয়াটারবডি, দেয়াল জুড়ে ভার্টিক্যাল গ্রীন, স্টার ক্লাস জিম সহ আধুনিক জীবনের নানা অনুষঙ্গ যোগ হয়েছে এখানে। পাঁচলাইশে জাতিসংঘ পার্কের সামনে ১০ কাঠা যায়গার উপর নির্মিত হবে স্নোডোনিয়া নামে একটি বিলাস বহুল প্রকল্প। এছাড়া নগরীর পূর্ব- নাসিরাবাদে তৈরি হবে সম্পূর্ণ নতুন ধারার ১২ তলা আবাসিক প্রকল্প, ওরিয়ানা। এখানে থাকছে সুইমিংপুল, স্টার লবি, সাউঞ্জ, জিম সহ নানা বিলাশবহুল লাইফস্টাইল অনুষঙ্গ।
নগরীর কমার্শিয়াল সেন্টার শেখ মুজিব রোডে র্যাংকস নির্মাণ করছে স্টেইট অফ আর্ট লাঙারী কমার্শিয়াল ভবন, খান প্লাজা। সম্পূর্ণ ফেয়ার ফেইস এই ভবনে থাকছে ডাবল হাইট লবী, ভার্টিক্যাল গার্ডেন, কার লিফট সহ সকল মডার্ন সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও হালিশহর হাউজিং স্টেটের লাঙারি কমার্শিয়াল ও রেসিডেন্সিয়াল ভবন সি কে টাওয়ারের নির্মান কাজ ও প্রায় শেষের দিকে। র্যাংকস এফসির সব প্রকল্পের ডিজাইন করছে র্যানকন গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ইন্সপেস।
সাস্টেইনেবল ও গ্রীন আর্কিটেকচারের এই সময়ে চট্টগ্রামের আবাসন সেক্টরে অন্যতম ভূমিকা রাখছে র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিজ লিমিটেড। ইট-সুরকীর খাঁচার বাইরে এসে পরিবেশ বান্ধব ও ভিন্নধারার বিল্ডিং ডিজাইনের প্রচেষ্টা নগরের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।