মেহেদীবাগে র্যাংকস এফসি’র গ্রিন বিল্ডিং ‘হোয়াইট ওক’ হস্তান্তর
র্যানকন গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ নগরীর মেহেদীবাগে তাদের গ্রিন প্রকল্প ‘হোয়াইট ওক’ হস্তান্তর করেছে।
এ উপলক্ষে সম্প্রতি প্রকল্প প্রাঙ্গণে ওয়েলকাম পার্টির আয়োজন করে ডেভলপার প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের এমডি ফাহিম ফারুক চৌধুরী, ডিভিশনাল ডিরেক্টর মাশিদ রহমান, সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন ভূমি মালিক ডা. সাইফুদ্দিন তারেক এবং ডা. তৌহিদুর রহমান সহ অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের সাথে নিয়ে কেক কেটে এই আনন্দঘন উপলক্ষ উদযাপন করেন।
অনুষ্ঠানে ডা. সাইফুদ্দিন তারেক বলেন, এটি একটি আইকনিক ভবন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এই প্রকল্পের একজন অংশীদার হিসেবে আমি গর্বিত।
ডা. তৌহিদুর রহমান বলেন, আমরা কল্পনার চেয়েও বেশি পেয়েছি।
অ্যাপার্টমেন্ট মালিক বাসুরী ব্যানার্জি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি আমার স্বপ্নকে ছুঁতে পেরেছি।
সিডিএ’র সিনিয়র আর্কিটেক্ট গোলাম রব্বানী বলেন, এই প্রজেক্ট দেখে আমি মুগ্ধ। নিয়ম মেনে ভবন তৈরি করলে সেটা যে কতো সুন্দর হতে পারে তার একটা উদাহরণ এই প্রকল্প।
প্রতিষ্ঠানের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, ভবন তো সবাই বানায়, আমরা তৈরি করি আর্টপিস। এই ভবনে পরিবেশের ক্ষতিকারক কোনো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। ইকো ফ্রেন্ডলি ভার্টিকাল গ্রিন, এনার্জি অ্যাফিশিয়েন্ট জানালা, সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর মাধ্যমে ভবনটিকে একটি পরিবেশবান্ধব ভবন হিসেবে তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি এখানে ওয়াটার বডি, রেইনফরেস্ট, বার্ডস অব প্যারাডাইজ, ওয়েলকাম লাউঞ্জ, ওক লাউঞ্জ এবং রুফটপ গ্রিন লাউঞ্জ তৈরি করা হয়েছে, আছে জিম আর মাইন্ডফুলনেস জোন। সবকিছুই তৈরি করা হয়েছে বসবাসকারীদের জীবনধারা উন্নত করার মানসে।
বিভাগীয় পরিচালক মাশিদ রহমান বলেন, এই প্রকল্পটি অনবদ্য। রিয়েল অ্যাস্টেট আমাদের জন্য যতটা না ব্যবসা তার চেয়েও বেশি প্যাশন। আমরা বিল্ডিং এর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী পর্যন্ত কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।
প্রতিষ্ঠানের এমডি ফাহিম ফারুক চৌধুরী র্যাংকস এফসি’র বিগত এক যুগের অর্জন তুলে ধরে বলেন, এই অর্জনের অংশীদার আমাদের সকল গ্রাহক। রিয়েল অ্যাস্টেটকে সাসটেইনেবল এবং অ্যাফোর্ডেবল করাই আমাদের লক্ষ্য। নগরে ভবন বানিয়ে রিয়েল অ্যাস্টেটকে মধ্যবিত্তের নাগালে আর রাখা যাচ্ছে না। সেজন্য উপশহর তৈরি করতে হবে।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে ইনস্পেস আর্কিটেক্টস এর সিইও ওয়াহিদুর রহমান আদিব, জিএম কন্সট্রাকশন বিশ্বজিৎ চৌধুরী, হেড অব সেলস রায়হান ইসলাম বক্তব্য দেন।