চট্টগ্রামের প্রথম ট্যারেস অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করলো র্যাংকস এফসি
শিল্পগ্রুপ র্যানকনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস তাদের অভিজাত প্রকল্প পার্ক ট্যারেস হস্তান্তর করেছে। এটি চট্টগ্রামে নির্মিত প্রথম কোনো থিমভিত্তিক ট্যারেস অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প।
এই উপলক্ষে সম্প্রতি প্রকল্প প্রাঙ্গনে একটি ওয়েলকাম পার্টির আয়োজন করে ডেভলপার প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের এমডি ফাহিম ফারুক চৌধুরী এবং সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন, ভূমি মালিক ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরীসহ অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে এই আনন্দঘন উপলক্ষটি উদযাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অ্যাপার্টমেন্ট মালিক জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ইটস এ্যা ড্রিম কাম ট্রু। মাত্র ২৪ মাসে প্রকল্প নির্মাণ সফলতার সাথে শেষ করার জন্য তিনি ডেভলপার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ডা. ফাতেমা সানজিলা আলম তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এটা অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি। এতোটা নৈস্বর্গিক সুন্দর ভবণ দেশে খুব কম আছে। চট্টগ্রামের প্রথম ট্যারেস প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনতে পেরে আমি গর্বিত।
প্রতিষ্ঠানের সিইও তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে মাত্র ২ বছরে প্রকল্প হস্তান্তর করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, এক বছরে অবকাঠামো করেছি বাকি এক বছরে নিখুঁত ফিনিশিং, অনেকটা বুটিক কনসেপ্ট আমাদের। ধরে ধরে শেষ না করা পর্যন্ত আমরা লেগে থাকি। আর একারনে আমাদের ভবনগুলো ইট পাথরের জঙ্গল না হয়ে, আর্টপিস হয়ে উঠে। একেকটা প্রকল্প একেকটা এলাকা বদলে দেয়।
প্রতিষ্ঠানের এমডি ফাহিম ফারুক চৌধুরী বলেন, র্যাংকস এফসি'র জার্নি শুরুতে খুব মসৃণ ছিলনা। তবে গেল পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ডিজাইন ইনোভেশন, নিখুত নির্মাণ, নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর আর সঠিক নেতৃত্বে সব চ্যালেঞ্জ পার হয়ে নতুন উচ্চতায় উঠতে পেরেছে।
তিনি বলেন, এই অর্জনের সমান অংশীদার আমাদের সকল গ্রাহকরা, যারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন, বিনিয়োগ করেছেন।
এদিন অন্যান্যদের মাঝে র্যাংকস এফসির জিএম কনস্টাকশন বিশ্বজিৎ চৌধুরী, হেড অব সেলস রায়হান ইসলাম, নাসিরাবাদ প্রোপার্টিস কল্যান পরিষদ এর সভাপতি মশিউদদৌজ্জা, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ফরহাদ বক্তব্য দেন।
নাসিরাবাদ প্রপার্টিসের এক নম্বর সড়কের কর্নার প্লটে নির্মিত এই অভিজাত ভবনে তিন হাজার একশত বর্গফুটের একেকটি অ্যাপার্টমেন্টে দুটো বিশাল আকৃতির (৬০০ বর্গফুট) ট্যারেস রয়েছে। সেই ট্যারেসের ওয়াল ঘেষে নির্মিত হয়েছে একেকটি ২০ ফুট উচ্চতার ভার্টিকাল গ্রিণওয়াল। এক পাশে স্থাপন করা হয়েছে ১৫ ফুট উচ্চতার হুকাচুয়া ট্রি। নিচে সিড়ি দিয়ে উঠার সময় চোখে পড়ে পয়েট্রি ওয়াল। সেখানে খুদাই করে লিখা হয়েছে পার্কট্যারেস এর থিম নির্ভর একটি কবিতা। মাল্টিপারপাস হাইস্পিড লিফ্ট দিয়ে দশতলা ভবনের ছাদে গেলে চোখ ভরে যায় সবুজে। ফার্ন, মনস্টেরা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে গ্রীন রেইনফরেস্ট পাশেই নির্মিত হয়েছে গ্রিন লাউঞ্জ এবং ফিটনেস সেন্টার এবং মাইন্ডফুলনেস জোন। যারা মেডিটেশন পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুণ একটা জায়গা।
ভবনটির স্থাপত্য নকশা করেছে র্যানকনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইনস্পেস আর্কিটেক্টস।